এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ কোনও সীমান্ত চিনে না। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এর সদস্য রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই মহামারি মোকাবিলায় টিম ইউরোপ নামে একটি যৌথ ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ভাইরাসের বিস্তার প্রশমনে সহায়তা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রাথমিকভাবে ২০ বিলিয়ন ইউরো তহবিল গঠন করেছে। এর মাধ্যমে করোনার বিস্তার ঠেকাতে অংশীদার দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে সংস্থাটি। খাদ্যনিরাপত্তা, বেসরকারি খাত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতের মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করছে ইইউ।
এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সহায়তা করতে আরও ৩৩৪ মিলিয়ন ইউরো অনুমোদন দিয়েছে ইইউ। ভবিষ্যতে এই তহবিল আরও সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব লাঘবে ২৬৩ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ১১৩ মিলিয়ন ইউরো বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানি শিল্পের শ্রমিকদের নগদ সহায়তা প্রদানে ব্যয় হবে।
এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি)। এর পাশাপাশি ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং বাংলাদেশের গবেষণা খাতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ভাসমান মানুষদের জরুরি সেবায় ৭ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৩ ইউরো ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।