এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হযেছে মাত্র ১ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
অপরদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৪ টাকা।
‘জেড’ গ্রুপে থাকা কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৪ সাল থেকে নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৪ সাল ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস ও ৫ শতাংশ নগদ, ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৮ সালে ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না জানানো এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি ‘জেড’ গ্রুপে অবস্থান করছে।
৪০১ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪০ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার আছে।
অ্যাপোলো ইস্পাতের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল নর্দান জুট। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, সমতা লেদারের ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমেছে।