জেনারেল এম এম নারাভানে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই দেশেরই সিনিয়র মিলিটারি কমান্ডারদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তার ফলে যে যে বিষয়ে মতবিরোধ ছিল তা আপাতত সমঝোতা করে একটা ফয়সালায় আসা গেছে। আমি সবাইকে এই কথা বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, চীনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা একাধিক বার আলোচনা করেছি, কর্পস কমান্ডার স্তরের সঙ্গে কথা থেকে শুরু করে সমমানের কমান্ডারদের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইদানিং বেশ কয়েকটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা আশাবাদী যে, এই চলতি সংলাপের মধ্য দিয়ে আমাদের (ভারত ও চীন) সমস্যাগুলোর উত্তরণ ঘটবে।
শুক্রবার উভয় দেশের মধ্যে মেজর জেনারেল পর্যায়ে আরও আলোচনা হয়েছে। মে মাসের গোড়ার দিকে লাদাখের প্যানগং লেক অঞ্চলে চীনা হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরই সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসে দুই দেশ।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, লাদাখের কিছু অংশে ভারতীয় ও চীনা সেনারা পারস্পরিক নিষ্পত্তির পথে হেঁটেছে। একটি ‘উল্লেখযোগ্য’ সমাধানের লক্ষ্যে চীনা সেনারা তিন কিলোমিটার ‘পিছু হটেছে’। ভারতের তরফ থেকে কিছু সেনাকে ফেরানো হয়েছে।
গত সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, যত দ্রুত সম্ভব চীনের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরনো সীমান্ত সমস্যার সমাধান চায় ভারত।
উত্তেজনা কমাতে চীন-ভারত যে বৈঠক হয় তার একদিন পরই ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকটি ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, সংকটের প্রাথমিক সমাধানের লক্ষ্যে দুই দেশই আরও চেষ্টা করবে।