গত ১৫ জুন থেকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন অনেক কুয়েত প্রবাসী। কুয়েত-দোহা-ঢাকা রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চলাচল করছে।
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে থাকা-খাওয়া খরচ জোগাড় করতেই কষ্ট হচ্ছে প্রবাসীদের। রুমে বসে নিজের খারাপ পরিস্থিতি ও পরিবারিক চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন অনেকে। বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্টে সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ। আর এদিকে চাকরি না থাকার কারণে অর্থ কষ্টে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় তাদের ভালো চিকিৎসা ও পরিবারের সেবা প্রয়োজন। এ কারণে অনেক প্রবাসী দেশে চলে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরে আসবেন।
কুয়েতে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী বাংলাদেশি সেলিম হাওলাদার জানান, করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ। স্টাফ খরচ, দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচসহ সবকিছু নিজের থেকে বহন করতে হচ্ছে। সবকিছু মিলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দেখলাম ১৫ জুন কুয়েত থেকে কাতার এয়ারওয়েজের বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করেছে। দেশেও আমার কিছু জরুরি কাজ আছে এবং ফ্লাইট সম্পর্কে ধারণার জন্য টিকিট কিনে ১৬ জুন দেশে পোঁছালাম। কুয়েতে ও ঢাকা এয়ারপোর্টে দুইটা ফরম পুরণ করতে হয়েছে। স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে।