বিএবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত আবগারি শুল্কের হার বাস্তবায়িত হলে আমানতকারীরা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বেন। এতে একদিকে যেমন ব্যাংকগুলো তহবিল সংকটে পড়বে, অন্যদিকে আমানতের সুদের ওপর নির্ভরশীল আমানতকারীরা বিকল্প কোনো নন-ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। এ অবস্থায় আমানতকারীদের বৃহত্তর স্বার্থ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নতুন হারে আবগারি শুল্ক আরোপের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন তিনি। চিঠির অনুলিপি অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকেও দেয়া হয়েছে।
বছরে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয় এমন ব্যাংক হিসাবের ওপর ২০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। বাজেটে আবগারি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
ব্যাংকে জমানো টাকা ও লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধিকে সরকারি শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব হিসেবে দেখছেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে ব্যাংকাররা বলছেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে মানুষ ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেনে নিরুৎসাহিত হবে। ব্যাংকে টাকা না রেখে মানুষ নিজেদের ঘরে জমা রাখবে। এতে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান তারল্য সংকট আরো বহুগুণ বাড়বে।
গ্রাহক ও ব্যাংকারদের ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরে গত ১৪ জুন প্রতিবেদন প্রকাশ করে বণিক বার্তা। ‘অবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে ক্ষোভ গ্রাহক ও ব্যাংকারদের’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের এক দিন পরই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দিল বিএবি।
চিঠিতে বলা হয়, আমানতকারীদের সঞ্চয় বা আমানত ব্যাংকিং ব্যবস্থার রক্তপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর্থিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যাংক সংগৃহীত আমানত থেকে বিধি অনুযায়ী বিনিয়োগের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তাই আমানত হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি।