আজ বুধবার (১৭ জুন) আয়োজিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম এ দাবি জানান।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। তাতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে কোনো শর্ত দেওয়া না হলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ বছরের বিনিয়োগ বহাল থাকা তথা লকইনের শর্ত দেওয়া হয়েছে।
সিএসই মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনা, নগদ জমা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো শর্ত না থাকায় মানুষ ৩ বছরের লক-ইন শর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবে না। তাই অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনো শর্ত থাকা উচিত নয়। শর্তটি বহাল থাকলে পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংকে আমানত রাখা বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার বিষয়ে মানুষ আগ্রহী বেশী হবে। এতে করে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে না।
বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার না কমিয়ে অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কার্যকর হলে এই দুই ধরনের কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ থেকে কমে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে আসবে। তাতে ভালো কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে অনাগ্রহী হবে বলে মনে করছে সিএসই। এ অবস্থায় সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি করেন তিনি।
সিএসই চেয়ারম্যান ব্রোকারহাউজে লেনদেনে বিদ্যমান করহার ০.০৫% থেকে কমিয়ে ০.০১৫% নির্ধারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাবস্থার কারণে ব্রোকারহাউজগুলোর আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। অনেক ব্রোকারহাউজ লোকসানে আছে। লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এভাবে উৎসে কর কেটে রাখা আয়কর আইনের নীতির পরিপন্থী।