সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যাগে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যকালে ওবায়দুল কাদেরে প্রস্তাবের প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি প্রস্তাব রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ছাত্রলীগকে প্রস্তাব ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে আর ভার থাকবে না। আজকের দিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ভারপ্রাপ্ত নয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে তারা ভারমুক্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মাইক নিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী এখন বক্তব্য দেবেন। তার বক্তব্যের আগে বলতে চাই- আমাদের ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত। ভারপ্রাপ্ত কথাটি কেমন যেন শোনায়। তাই ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করার জন্য তার কাছে অনুরোধ জানাই।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
বিতির্কিত কর্মকান্ডের জন্য ছাত্রলগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দিয়ে জয় ও লেখককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
শনিবারের এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শোভন ও রাব্বানীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাইকমান্ডের নির্দেশে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।