রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সকাল ১০টায় মারা গেছেন কামাল লোহানী।
এদিকে বাবার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ধরে রাখতে পারলাম না। চলে গেলেন কামাল লোহানী’।
দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন কামাল লোহানী। গত মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার (১৯ জুন) জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ভাইরাসের সংক্রমণ ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের বরেণ্য এ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার সনতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কামাল লোহানী। কামাল লোহানী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুইবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন কামাল লোহানী। এছাড়া তিনি উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে চার বছর করে দায়িত্ব পালন করেন।