ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে সমর্থন সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারগুলোকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আইএমএফ বলছে করোনাভাইরাসের মহামারি ২০২০ সালের প্রথম অর্ধেকে অর্থনীতিতে ধারণার চেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আর এ থেকে উত্তরণের গতিও ধীর হবে। ২০২১ সালে বিশ্বের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
আইএমএফ’র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গিতা গোপিনাথ বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি অর্থনীতিকে বড় ধরণের লকডাউনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, এতে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ এবং জীবন রক্ষা সম্ভব হয়েছে কিন্তু মহামন্দার পর সবচেয়ে বড় মন্দার সূচনা করেছে।’ তিনি বলেন, এ বছর ৯৫ শতাংশ দেশে মানুষের জীবনযাত্রার মান পড়ে যাবে।
আইএমএফ বলছে, বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র নিরসনে ১৯৯০ সাল থেকেন যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে তা এই মহামারিতে ঝুঁকিতে পড়েছে। দরিদ্রদের ওপর মহামারির প্রভাব নিরসনে জোরালো সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।