শনিবার (২৭ জুন) ফাউন্ডেশনের ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘জুম’ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, করোনা দুর্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে অনলাইনভিত্তিক কর্মসূচি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। তিনি আরও জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য বাজারজাতকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং দেশে ও বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এসএমই ফাউন্ডেশনের নানামুখি কার্যক্রমের সুবিধা পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৯৮জন উদ্যোক্তা। এর মধ্যে নারী উদ্যোক্তা ৫৭৩০জন এবং পুরুষ উদ্যোক্তা ৪৭৬৮জন।
গত ১৭ জুন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কে এম হাবিব উল্লাহর মৃত্যুতে সভার শুরুতেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাই পর্ষদের একজন সদস্যের প্রস্তাব এবং একজন সদস্যের সমর্থনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদকে ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি মনোনয়ন করা হয়।
পরে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও গ্রহণ, নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুমোদন এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, ২০১৯ সালে ৭ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ৫ কোটি ৭ লাখ টাকার পণ্য বিক্রয় ও ৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকার বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার পান অংশগ্রহণকারী ৩০৮ জন এসএমই উদ্যোক্তা।
এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের ৮টি বিভাগের ২৩টি জেলায় এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলায় মোট ১০৭২টি এসএমই প্রতিষ্ঠান মোট ৯ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার পণ্য বিক্রয় করে এবং ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার পায়। তিনি আরও জানান, সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ২৮টি জেলায় আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা করা হয় এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ৩২টি জেলায় এসএমই পণ্য মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।