বিশ্বজুড়ে মহামারী চলার মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। ২৯ জুন সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। ২৯ জুন বিশ্ব ব্যাংকের ২৫ কোটি ডলার ঋণ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছাইদুর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেছেন, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই (২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ২৮ জুন) ১৮ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি জুন মাসের ২৮ দিনেই (১ জুন থেকে ২৮ জুন) ১৬৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে মহামারী চলায় রেমিট্যান্সে তার প্রভাব না পড়ার জন্য হুন্ডি বন্ধ হওয়া অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রণোদনা থাকায় প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স।
দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। এবার করোনাভাইরাস মহামারীতে মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্সও কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বগতির ধারা চলছে। রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থ বছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার।
মহামারীর কারণে কোন দেশের অর্থনীতিই স্বস্তিতে নেই। সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী যে অঞ্চলে রয়েছে, তেলের দামের নিম্নগতিতে সেখানেও চাকরিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এই সময়ে রেমিট্যান্স বাড়ার বিষয়ে ছাইদুর বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীকালে পরিবারের-পরিজনের প্রয়োজনে সর্বশেষ জমানো টাকাও অনেকে পাঠাচ্ছেন। অনেকে আবার দেশে ফিরে আসার চিন্তা-ভাবনা করছে। তাই যা কিছু আছে সব আগেই দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ সব কারণেই রেমিট্যান্স বাড়ছে।