বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফরজে)প্রকল্পের আওতায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।
রোববার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ইসিফরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারিখাত বিশেষজ্ঞ হোসনে ফেরদৌস সুমি, ইআরএফ টিম লিডার ইলউড পি,বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুত ও রফতানিকারক (এলএফএমইএবি) সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হালকা প্রকৌশল শিল্প মালিকদের সংগঠন বিইআইওএ’র সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, সম্ভাবনাময় চারটি রফতানি খাতে বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় পরিবেশগত,সামাজিক এবং গুণগত মান পূরণের জন্য যোগ্য ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদান করা হবে। তিনি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের ম্যাচিং গ্র্যান্ট এর সুযোগ গ্রহণ করে রফতানি সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বৈশ্বিক রফতানি বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে ইআরএফ ফান্ড বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন,কোন দেশের রফতানি আয় যদি একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে,সেটি কখনও ভাল নয়। যেমন আমরা গত কয়েক মাস ধরে দেখছি দেশের রফতানি আয় প্রত্যাশা মত হচ্ছে না। তাই আমাদেরকে অব্যশই তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আশা করি ইআরএফ ফান্ড পোশাকের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে রফতানি পণ্য বহুমূখীকরণে বিশেষ অবদান রাখবে।
রফতানি পণ্য বহুমূখীকরণে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি রফতানি কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ইসিফরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম জানান, ইআরএফ ফান্ডের মূল লক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশের চারটি সম্ভাবনাময় খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের উদ্যোক্তা ফার্মকে আরো বেশি রফতানিসক্ষম বা কমপ্লায়েন্ট করে তোলা। যাতে তারা অধিকতর মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও সক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং একইসাথে বৈশ্বিক ভ্যালুচেইনে অংশ নিতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ইআরএফ তহবিলের পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একটি কোম্পানিকে প্রথম পর্যায়ে কারখানা বা পণ্য এ্যাসেসমেন্টের জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার দেয়া হবে এবং কারখানা বা পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয়ধাপে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ডলার দেয়া হবে।