২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হচ্ছে, যা লক্ষমাত্রার চেয়েও বেশি। লক্ষমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ২ লাখের বেশি হেক্টর জমি বেড়েছে এবার, যাকে সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ আউশের আবাদ বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার টন। এ বছর উৎপাদন লক্ষমাত্রার ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টন। ফলে গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।
আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার এবং ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা করোনা দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করেছেন। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষমাত্রার প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষমাত্রার এক কোটি ৫৬ লাখ টন চাল। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক/উফশি জাতের সম্প্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এর সঙ্গে মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ হ্রাসকরণসহ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়-আমন উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি দিচ্ছে। বিএডিসির ১৯ হাজার ৫০০ টন আমন ধানের বীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশি আমন ধানের বীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষী পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।