করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ও আমদানি-রফতানিতে যে ধস নেমেছে, তার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ে।
কভিড-১৯-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে উচ্চ শুল্কের বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি কমে যাওয়া অর্থাৎ রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধি যে হারে ধরা হয়েছে, সে অনুযায়ী আমদানি না হওয়াই মূলত ধসের কারণ বলে মনে করছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যমতে, দেশের আমদানি-রফতানি খাতের রাজস্ব আয়ের সিংহভাগ লক্ষ্যমাত্রাই চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে ধরা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ থেকে সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪১ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব কম আহরণ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, অর্থাৎ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম। আবার এর আগের অর্থবছরের চেয়েও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৩ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সিডি, আরডি, এসডি, ভ্যাট ও জরিমানা খাতের টাকা কাস্টম হাউজের হিসাবে দেখানো হয়। এর বাইরে এআইটি ও এটি (অ্যাডভান্স ট্যাক্স) খাতেও রাজস্ব আহরণ করা হয়। তবে তা আয়কর ও ভ্যাট বিভাগে জমা দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মূলত ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করে। বিপুল ভোগ্যপণ্য আমদানি হলেও সেই পণ্যে শুল্কহার একেবারে নেই বললেই চলে। শেষের দিকে ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে আনলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। কারখানা খোলার পর যেসব পণ্য ছাড় হয়েছে, তারও শুল্ক খুবই কম।