ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে সাইফ বলেছেন, ‘স্বজনপ্রীতি ও প্রজননশাস্ত্রের মধ্যে গুলিয়ে ফেলাটা খুবই স্বাভাবিক। জিনে হয়তো এমন কিছু রয়েছে যা রাজ কাপুর উত্তরসূরীদের অভিনয়শিল্পী এবং পতৌদিদের ক্রিকেটার বানায়। আমার মতে, এতে সুপ্রজনন এবং জিনগত বিষয় কাজ করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আসলে ডার্বি বিজয়ীকে বেছে নিই। সঠিক সঙ্গীর সঙ্গে প্রজনন এবং দেখি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল বিজয়ী কাউকে তৈরি করতে পারি কিনা। সুতরাং এই দিক থেকে এটি তারকা সন্তান এবং প্রজননতন্ত্রের ব্যাপার।’
অবশ্য বরুণ, করন ও সাইফ বিষয়টি নিয়ে কঙ্গনার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এতদিন চুপ ছিলেন কঙ্গনা। অবশেষে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
‘সাইফ যদি সঠিক হন, তাহলে আমি কৃষক হতাম’ শিরোনামে খোলা চিঠিতে কঙ্গনা লিখেছেন: ‘শেষবার আমি এই বিষয়ে দুঃখ পেয়েছিলাম যখন করন জোহর একটি ব্লগে বিষয়টি নিয়ে লিখেছিলেন। এমনকি পরবর্তীতে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সিনেমা ব্যবসা লাভবান করার অনেক মানদণ্ড রয়েছে কিন্তু মেধা সেগুলোর মধ্যে নেই।
আমি জানি না তিনি এটি অজ্ঞাতবশত নাকি সরল মনে বলেছেন। কিন্তু দিলীপ কুমার, কে. আসিফ, বিমল রায়, সত্যজিৎ রায়, গুরু দত্ত এবং আরো অনেকে যারা মেধা ও অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে বর্তমান সিনেমা ব্যবসার ভীত গড়েছেন তাদের অসম্মান করেছেন- এটি সত্যিই অদ্ভুত।’
সাইফের বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি সেখানে যোগ করেছেন: ‘আপনি তারকা সন্তান ও জীনগত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যেখানে আপনি জোর দিয়ে স্বজনপ্রীতিকে পরীক্ষিত জিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমি বুঝতে পারলাম না, আপনি কীভাবে একজন শিল্পীর সঙ্গে জিনগতভাবে হাইব্রিড রেসের ঘোড়ার তুলনা করলেন।
আপনি কি একজন শিল্পীর দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা, মনোসংযোগ, উদ্যম, আগ্রহ, শৃঙ্খলা- এগুলো ভালো পারিবারিক জিনের মাধ্যমে আসতে পারে তা পরখ করে দেখেছেন? আপনার যুক্তি যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি কৃষক হতাম। তাহলে, কোন জিন আমাকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আগ্রহী করে এবং আমার লক্ষ্য আদায়ে আত্মত্যাগী করে।
আপনি সুপ্রজনন বিদ্যা নিয়ে কথা বলেছেন- যার অর্থ মানুষের কিছু নিয়ন্ত্রিত প্রজনন। এখন পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করি, মানুষ এখনো সেই ডিএনএ খুঁজে পায়নি যা মহানুভবতা ও শ্রেষ্ঠত্বকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
সর্বশেষ কঙ্গনা লেখেন: ‘পৃথিবী আদর্শ স্থান নয় এবং এটি সম্ভবত হবেও না। এ কারণেই আমাদের শিল্প ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। এক দিক থেকে আমরা আশার পতাকা বাহক।’