চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন সিভাসুর প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএমএএম জুনায়েদ সিদ্দিকী।
গবেষকরা দাবি করেছেন, এই ফেব্রিকস উন্নত সিলভার এবং ভ্যাসিকাল প্রযুক্তির বিশেষ মিশ্রণে তৈরি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল করোনা কিলার— যা মাত্র দুই মিনিটে ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভাইরাসকে ধ্বংস করে। এমনকি ২০ বার ধোয়ার পরেও টেক্সটাইল সামগ্রীতে করোনাপ্রতিরোধী উপাদান কার্যকর থাকে।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া করোনাপ্রতিরোধী উপাদানসমৃদ্ধ এই টেক্সটাইলস ও অ্যাপারেলসের সংস্পর্শে আসলে সেগুলো দুই মিনিটের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। করোনাপ্রতিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি এই ফেব্রিক দিয়ে তৈরি করা যায় পিপিই, ফেইস মাস্ক, আইসোলেশন গাউন, ওভারঅল, সু-কাভার, ডেনিম, নন-ডেনিম, প্যান্ট, শার্ট, লেডিস ওয়্যার, টি-শার্ট, পলো শার্ট, হোম টেক্সটাইল, এয়ার ফিল্টার থেকে এমনকি হাসপাতালের ইউনিফর্মও।
এ বিষয়ে রুট গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল বলেন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রুট গ্রুপ যৌথভাবে এই নিয়ে অধিকতর গবেষণা কার্যক্রমের জন্য একটি এমওইউ চুক্তি সম্পাদনের দ্বারপ্রান্তে আছে। গবেষণা কার্যক্রমের যাবতীয় আর্থিক সহায়তা দেবে রুট গ্রুপ।
তিনি বলেন, করোনার কারণে অর্থনীতি প্রায় থমকে গেছে। করোনা কিলার সামগ্রী ব্যবহার করে যদি মানুষকে আবার তার কর্মে ফেরানো যায়, সেজন্য আমাদের এ উদ্যোগ। করোনা প্রতিরোধে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হলেও এ সুরক্ষা সামগ্রীর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।