জানা গেছে, মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জামাল উদ্দীন গত ২১ জুন ওয়ালটনের ‘বন্দর ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা করে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ২ টনের দুটি এসি কেনেন। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১ টনের আরেকটি এসি ফ্রি পান।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনও ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। এ কার্যক্রমের আওতায় ওয়ালটনের একটি এসি কিনে আরেকটি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা। রয়েছে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত মূল্যছাড়। পাশাপাশি গ্রাহকরা পাচ্ছেন ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা।
রোববার (৫ জুলাই) জামাল উদ্দীনের হাতে ফ্রি পাওয়া এসিটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সদস্য আনিছ মিয়া, ‘বন্দর ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী শামিম ভূঁইয়া এবং ওয়ালটনের এরিয়া ম্যানেজার মেহেদী হাসান প্রমুখ।
জামাল উদ্দীন বলেন, রোস্তমপুর জামে মসজিদটি বেশ বড়। যে কারণে আমরা ওয়ালটন থেকে ২ টনের দুটি এসি কিনি। আল্লাহর কুদরতে এরপর আরো একটি এসি ফ্রি পেলাম। এই এসিটিও আমরা মসজিদে ব্যবহার করবো। এতে এখানে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদের সুবিধা হবে। তারা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ওয়ালটন কর্মকর্তারা জানান, দেশে নিজস্ব কারখানায় উচ্চমান বজায় রেখে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়নে ওয়ালটনের রয়েছে দক্ষ ও মেধাবী আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। তাদের প্রচেষ্টায় ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে সংযুক্ত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি। বুয়েটে সম্প্রতি এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওয়ালটন এসিতে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম। ঘণ্টায় মাত্র ৩.৭৪ টাকা। এর অর্থ ওয়ালটন ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৪১০এ এবং আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, ডুয়েল ডিফেন্ডার এবং আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
১, ১.৫ এবং ২ টনের স্প্রিট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার এসি।
যেকোনও ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটনের নতুন এসি। এছাড়া, মাত্র ৪ হাজার ৯০০ টাকা ডাউনপেমেন্টে এসি দিচ্ছে ওয়ালটন। রয়েছে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই সুবিধা। তবে এক্সচেঞ্জ এবং কিস্তি সুবিধায় এসি কিনলে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সুবিধা মিলবে না।
পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটনের নিজস্ব অনলাইন শপ ‘ই-প্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম’ (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দের এসি কিনতে পারছেন। অনলাইন থেকে এসি কেনায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সুবিধা উপভোগ করা যাবে। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওয়ালটনের দক্ষ টেকনিশিয়ানরা বিনামূল্যে গ্রাহকদের এসি ইন্সটলেশন করে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। আর নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরের গ্যারান্টি ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করেছে ওয়ালটন।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পরপর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।