প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি আমাদের সুযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা সমস্যারও সৃষ্টি করছে। দেখা যায়, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট বা অ্যাপস ব্যবহার করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অনেক অপ্রয়োজনীয় লিঙ্ক চলে আসে। তাই, ক্ষতিকর ডিজিটাল কনটেন্ট যথাযথভাবে ফিল্টার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে আমি বলব, একটা কিছু আসলো (ইন্টারনেটে আপলোড হলো) অমনি সেটা শুনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা অন্য কিছু করা ঠিক নয়। সঠিক তথ্য যাচাই করে নেয়া দরকার।যাচাই না করে শুধু গুজবে কান দেয়া বা শুধু কৌতুহলবশত সেগুলোতে প্রবেশ না করাই ভালো। কোনো ধরনের মন্তব্য করা বা ছড়ানো বা সেটাতে হাত দেয়াই উচিত নয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০১৯’ সম্মাননা দেয়া। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ‘আমার সরকার’ শীর্ষক একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতউল্লাহ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি সেক্টরের অগ্রগতি তুলে ধরে একটি ভিডিও চিত্রসহ গত ১২ ডিসেম্বর সারা দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদযাপনের তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ উদ্যোক্তা, আইএসপি ও টেলিকমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।