বুধবার রাতে বিএফআইইউ থেকে নীতিমালাটি সার্কুলার আকারে জারি করে রিপোর্ট প্রদানকারী সব সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে ব্যাংক বা আর্থিক সেবা গ্রহণে হিসাব খোলা, পুঁজিবাজারের বিও হিসাব খোলা এবং বীমা সংক্রান্ত পলিসি খোলার বিদ্যমান প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও সহজে সম্পন্ন করা যাবে। এর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। গ্রাহক হয়রানি ও ব্যয় কমবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, পাঁচটি ধাপে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একজন গ্রাহক আর্থিক হিসাব খুলতে পারবেন। আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অথবা আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা এজেন্টের বাসায় উপস্থিত হয়ে অথবা ঘরে বসে নিজে নিজেই হিসাব খুলতে পারবেন গ্রাহকরা। ফলে ই-কেওয়াইসি চালুর কারণে অতি সহজে আর্থিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
বিএফআইইউ বলছে, বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতি ঘরে ঘরে স্বল্প খরচে আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া। এছাড়াও এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন, আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র’ প্রকাশিত হয়েছে। কৌশলপত্রের স্ট্রাটেজি নম্বর-০৮ এর অ্যাকশন আইটেম নং-০৯ এ রিপোর্টিং সংস্থাগুলোর জন্য ডিজিটাল কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য বিএফআইইউকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
নীতিমালায় আঙ্গুলের ছাপ ও মুখছবির ম্যাচিংয়ের মতো দুটি পদ্ধতি উল্লেখ রয়েছে। তবে ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে আইরিশ ম্যাচিংয়ের মতো পদ্ধতিও গ্রহণ করতে পারবে। তবে এ পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া হিসাব খোলা যাবে না। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের বিদ্যমান পদ্ধতিতে হিসাব খুলতে হবে।
ই-কেওয়াইসি চালুর আগে বিএফআইইউ ১৯টি ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও একটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী নিয়ে ৩৩টি জেলার ৫২টি স্থানে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং বিভিন্ন অংশীজনদের সুপারিশের ভিত্তিতে আলোচ্য গাইডলাইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।