গ্রেফতারকালীন সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, শাখরা কোমরপুর ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন রয়েছে নর্দমার মতো। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ। জেলেরা ভেবেছিলেন কোনো পাগল শুয়ে আছে। আমাদের এলাকায় এমন একজন পাগল রয়েছে। সে যেখানে সেখানে শুয়ে থাকে।
তিনি বলেন, এরপর র্যাবের তিনটি গাড়ি আসে পর পর। চিৎকার করতে থাকে, এই পেয়েছি এই পেয়েছি। আমরা তখন মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়েছি মাত্র। বোরকা পরা অবস্থায় র্যাব তাকে বের করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়। সাহেদের কাছে একটি পিস্তল পেয়েছে র্যাব। এছাড়া একটি নৌকা ভাড়া করেছিলেন সাহেদ। সেই নৌকায় ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে
সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পের অ্যাডিশনাল এএসপি মো. বজলুর রশিদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে আলোচিত প্রতারক সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।