বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে র্যাবের সদর দফতরে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের গ্রেফতার পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাচ্ছি, তখনই হাসপাতালে অভিযানে যাচ্ছি। গত ১২ জুলাইও রাজধানীর একটি হাসপাতালে অভিযান হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। এই চলমান প্রক্রিয়া। যদি কেউ এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার কামালপুর গ্রামে লবঙ্গবতী খালের পাশ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তিনি নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সাহেদ নৌকায় ওঠার পরপরই তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেন র্যাবের সদস্যরা। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসপাতালটির মালিক মোহাম্মদ সাহেদ। ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। ৯ জুলাই সাহেদের মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে এবং ১৪ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার ভোরে সাহেদকেও গ্রেফতার করা হলো।