প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, 'বিগত চার মাস ধরে একটি নজিরবিহীন বৈশ্বিক মহামারি আমাদের কাজের ধরনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের কাজের ধরন থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কভিড-১৯ এর সঙ্গে বৈরি আবহাওয়া ও রেগুলেটরি বাস্তবতার কারণে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব অর্জনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।'
গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২২ শতাংশ মার্জিন নিয়ে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর পরবর্তী মুনাফা দাড়িয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ টাকা। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৪৫ লাখ, যার ৪ কোটি ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
গ্রামীনফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফ) ইয়েন্স বেকার বলেন, সাধারণ ছুটি থাকায় দেশের অর্থনীতির শ্লথগতির কারনে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছে। তবে মে থেকে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট সেবায় প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলেও দ্বিতীয় প্র্রান্তিকে রাজস্ব অর্জন ও নেটওয়ার্কে গ্রাহক সংখ্যায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছি। তিনি বলেন, দেশের প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণফােনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ১৩০ শতাংশ অর্ন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১৩২টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। জুন শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৫৭। দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ফি ও তরঙ্গ ব্যবহারের ফি বাবদ মোট রাজস্বের ৬৭ শতাংশ বা ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।
ইয়াসির আজমান বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে প্রতিকূলতার মধ্যেও গ্রামীণফোন দেশব্যাপী জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে পেরেছে। সাইক্লোন আম্পানের বৈরি আবহাওয়ার সময়েও ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক দ্রুত ঠিক করতে পেরেছে।