বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ব্যাংকটি আইসিটি, বিপিও, আউটসোর্সিং, ইন্টারনেট ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য দেশের প্রথম জামানতবিহীন এমএসএমই ঋণ চালু করেছে, যা সরকারি ও উদ্যোক্তা মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
হংকং ভিত্তিক এশিয়ামানির পুরস্কারটি এ অঞ্চলের ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিমণ্ডলে অনেক প্রত্যাশার এক পুরস্কার। এর আগে যেসব বিশ্বখ্যাত ব্যাংক এশিয়ামানির সেরা ডিজিটাল ব্যাংক পুরস্কার পেয়েছে তাদের অন্যতম হলো- সিঙ্গাপুরের ইউওবি ব্যাংক, জাপানের রাকুটেন ব্যাংক, ভারতের এইচডিএফসি ব্যাংক এবং হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
প্রাইম ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিসের অন্যতম গুণ হলো দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট, প্রাইম ডিজি, যা গ্রাহকদের ব্যাংকের প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক এটিএম ও কন্টাক্ট সেন্টারেও গ্রাহকদের উৎকর্ষ সেবা দিয়ে আসছে। ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের অংশ হিসেবে অতি শিগগিরই ব্যাংকটি নারীদের জন্য বিশেষায়িত উদ্যোগ, এজেন্ট ব্যাংকিং ও ভয়েস ব্যাংকিং চালু করতে যাচ্ছে।
পুরস্কারের মানপত্রে এশিয়ামানি উল্লেখ করে- ‘প্রাইম ব্যাংক চালু করে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটাল সেভিং অ্যাকাউন্ট, প্রাইম ডিজি যা সাইবার সিকিউরিটির দ্বারা সুরক্ষিত। পরিবর্তনশীল পরিবেশে দ্রুততার সঙ্গে ডিজিটাল ব্যাংকিংকে এগিয়ে নেয়ার কৌশলের অগ্রগামী অংশ হচ্ছে প্রাইম ডিজি। আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংক উদ্ভাবনী ব্যাংকিংয়ের প্রবর্তন করেছে। করপোরেট গ্রাহকদের ট্রেড ও ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সুবিধা প্রদানে চালু করেছে রিয়্যাল-টাইম সার্ভিস। দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকটি এবং নতুন নতুন ও সম্ভাবনাময় ডিজিটাল ক্ষেত্রে পদচারণা শুরু করছে।’
পুরস্কারের বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি দৃশ্যমান অবকাঠামো সম্প্রসারণে গুরুত্ব কমিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে মনোযোগ বাড়াচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকদের উৎকর্ষ সেবা প্রদান করা। গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী সহজ ও সহজলভ্য ডিজিটাল চ্যানেলের সাহায্যে সেবা দেয়া। এ পুরস্কারটি আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণার। এতে প্রতিফলিত হয় যে, ভবিষ্যতমুখী ব্যাংকিংয়ের জন্য আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি ডিজিটাল ব্যাংকিং চালু করতে যতটা না প্রযুক্তি দরকার, আসলে তার চেয়ে বেশি দরকার মানসিকতার পরিবর্তন। তাই কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং মানসিকতা পরিবর্তনের প্রতি উন্মুক্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আসন্ন ডিজিটাল উদ্ভাবনের জন্য প্রস্তুত আছি। ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করছে ভিশনারি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে যখন সকল ডিজিটাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তখন এর ইতিবাচক প্রভাব ব্যাংকের আয়েও প্রতিফলিত হবে।’
পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং এখনও শিশু অবস্থায় আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কয়েক বছরের মধ্যেই এই খাত বিকশিত হবে। চালু হবে কাগজবিহীন, স্বাক্ষরবিহীন ও এমনকি শাখাবিহীন ব্যাংকিং। ই-কেওয়াইসি, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ডিজিটাল ব্যাংকিংকে বেগবান করছে। ১৬ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহক ও ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল উদ্ভাবনের চারণভূমি। এ ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল সেবা গ্রহণ প্রমাণ করে সরকারের ডিজিটাল স্বপ্নকল্প বাস্তবায়নের দিকে এগুচ্ছে।