এ থেকে বুঝা যায় কত দ্রুত মহামারীটির বিস্তার ঘটছে দেশটিতে।খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ।মাত্র তিন দিনে এক লাখ রোগী বেড়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন ও মারা গেছেন ৬৮৭ জন।দু’টিই রেকর্ড।
সরকারি হিসেবে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা শুক্রবারই ২৫ হাজার পেরিয়েছে। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু বাদে অন্য সব ক’টিতে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
এরই মধ্যে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্যের পুনথুরা, পুল্লুভিলা, তিরুঅনন্তপুরম এলাকায় গোষ্ঠী-সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তাই উপকূল এলাকাগুলিতে আগামী কয়েক দিন সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে।
যদিও এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, কিছু এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিন্তু গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়নি। তা শুরু হলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিতে পরিবর্তন আনা হবে।
আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি।কিন্তু কেন্দ্রের কাছেও এর কোনও চটজলদি সমাধান নেই।
‘ভারত বায়োটেক’ জানিয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে তাদের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ভারতের মতো দেশে কোভিডকে আটকাতে হলে দ্রুত প্রতিষেধক চাই।সেই কারণেই তড়িঘড়ি টিকা আবিষ্কারে জোর দেয়া হয়েছে। তা নাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
একমাত্র পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখলেই করোনাকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।কিন্তু ১৩৫ কোটির দেশে তা করা যে বিলক্ষণ কঠিন, বুঝছে কেন্দ্র।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আশঙ্কা, এই হারে চলতে থাকলে অগস্টেই দেশে সংক্রমণ ২০ লাখ ছাপিয়ে যাবে।
পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে দ্রুত সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ফের দরকার লকডাউন- অন্তত সপ্তাহের মাঝখানে ও শেষে এক দিন করে। তাতে সংক্রমণের শৃঙ্খল অনেকটাই ভাঙবে বলে গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে দেখিয়েছেন আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর দুই গবেষক।
বহু দেশে লকডাউনের পরে সংক্রমণ কমেছে। ভারতে ঠিক উল্টো ছবি। তা সত্ত্বেও অর্থনীতির বিপর্যস্ত অবস্থার কথা ভেবে কেন্দ্রও ফের লকডাউনে রাজি নয়। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজেশ ভূষণের মতে, রাজ্য চাইলে লকডাউন ঘোষণা করতেই পারে।