কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম আঘাত হানে গত ৮ মার্চ। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ফলে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে।
সাধারণ ছুটির মধ্যে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা থাকলেও করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি কোনো প্রতিষ্ঠানই। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসায় এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় ধস নেমেছে।
যমুনা ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা কমেছে ৩৩ পয়সা বা ৩৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফা কমলেও নয় মাসের হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভালো মুনাফা করায় কোম্পানিটির এই মুনাফা বেড়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।
মুনাফার নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৯৪ পয়সা, যা ২০১৯ সাল জুন শেষে ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা।