কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এর আকার হবে ২ হাজার কোটি টাকা। তবে এর আওতায় ব্যাংকগুলোকে ৮ হাজার ৩২০ কোটি টাকা ঋণ গ্যারান্টি দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই নীতিমালা অনুমোদন হয়। প্রতিবেশী ভারতেও ক্ষুদ্র ঋণে নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর ফলে প্রণোদনার ১ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপির প্রায় অর্ধেক বিতরণ করে ফেলেছে ভারতের ব্যাংকগুলো। তবে বাংলাদেশে এসএমই খাতের ২০ হাজার কোটি টাকা তহবিলের ৫০০ কোটি টাকাও বিতরণ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম রাতে বলেন, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো যাতে অনীহা না দেখায়, এ জন্যই এই উদ্যোগ। এর ফলে গ্যারান্টি থাকা ঋণ খারাপ হয়ে গেলেও ব্যাংকগুলো ক্ষতিপূরণ পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন হওয়া নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি, তারা এই সুবিধা পাবে না। ফলে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক ব্যাংকও এ সুবিধার বাইরে থাকবে।
ব্যাংকগুলো কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নতুন করে যেসব ঋণ দেবে, তার বিপরীতে নিশ্চয়তা নিতে পারবে। এ জন্য প্রথম বছরে ১ শতাংশ হারে গ্যারান্টি মাশুল দিতে হবে। পরের বছরগুলোয় ৫ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ থাকা ব্যাংকগুলো দশমিক ৫ শতাংশ হারে মাশুল দেবে। এর বেশি খেলাপি থাকা ব্যাংক মাশুল দেবে দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে।
নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ঋণে নিশ্চয়তা দেয়া হবে, ওই ঋণের ওপর নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে না। শুধু নতুন ঋণেই এই নিশ্চয়তা দেয়া হবে। নিশ্চয়তা থাকা কোনো ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এলে পুরো টাকা ফেরত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকার কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল, এই খাতের প্রণোদনার ঋণে নিশ্চয়তার মেয়াদ হবে ৩ বছর। প্রণোদনার বাইরে ঋণে নিশ্চয়তার মেয়াদ হবে ৫ বছর।
সিএমএসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানকে চলতি মূলধন জোগান দিতে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এতে উদ্যোক্তাদের সুদ সাড়ে ৪ শতাংশ। তবে ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতে ঋণ দিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবে ঋণে নিশ্চয়তা দেয়ার উদ্যোগ এই খাতে ঋণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।