ইস্তানবুলের গভর্নর আলী ইয়ারলিকায়া বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় বলেন, মুসলমানরা আবেগে আনন্দিত। তারা সেখানে প্রথম জুমায় অংশ নিতে অধীর হয়ে আছেন।
দেড় হাজার বছরের পুরনো ইউনেস্কোর এই বিশ্ব ঐতিহ্যটি ১৯৩৪ সালে জাদুঘর বলে ঘোষিত হয়েছে।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে আয়া সুফিয়ার জাদুঘরের মর্যাদা বাতিল ঘোষণা করেন একটি তুর্কিশ আদালত।
রায়ে বলা হয়, এই ভবন মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার সম্ভাব্য বৈধ হবে না।
পরে ২৪ জুলাই থেকে সেখানে জুমা আদায় করা হবে বলে ঘোষণা আসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের কাছ থেকে।
তবে ভবনটি অমুসলিম ও বিদেশি পর্যটকদের জন্যও খোলা রাখার কথা তিনি জানিয়েছেন।
তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে সমালোচনাও এসেছে।
অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ক্যাথেড্রাল হিসেবে নির্মিত আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হয় নবম শতকে উসমানীয় বিজয়ের পরে।
টেলিভিশনে দেয়া ঘোষণায় গভর্নর বলেন, জুমা পড়তে আসা মুসল্লিদের ফেস মাস্ক পরতে হবে। সঙ্গে একটি জায়নামাজও নিয়ে যেতে হবে।
সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরাও থাকবেন বলে জানিয়েছেন মেয়র আলী।
তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আলী এরবিস বলেন, মসজিদটিতে একসঙ্গে এক হাজার লোক জামাতে অংশ নিতে পারবেন।
দেশটির বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। কিন্তু বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা তার বিরোধিতায় সরব ছিলেন।