মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ বিপর্যয় ঘটে। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
এদিন অন্যান্য দিনের মতো পোশাক কারখানাগুলো বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল। তবে দুপুর ২টা থেকে ছুটির আগ পর্যন্ত সময়ই ছিল জেনারেটরনির্ভর। এতে খরচ যেমন বেড়েছে, আবার পণ্যের কোয়ালিটিও কমেছে বলে জানান শিল্প উদ্যোক্তারা। একই সঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বিকেএমই’র এক পরিচালক বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের কারখানায় উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। বিদ্যুতের মাধ্যমে যে খরচ হয় জেনারেটরে সেখানে বড় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তবে দুপুর থেকে কারখানা বন্ধ পর্যন্ত কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে পণ্যের মান ও উৎপাদনে প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি কারখানায় জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। তবে জেনারেটর দিয়ে কাজ চালাতে হলে পণ্যের কোয়ালিটি, উৎপাদন ও খরচ বেড়ে যায়। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাবো যেন এ সমস্যার সমাধান হয়। এটা অব্যাহত থাকলে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
অন্যদিকে, সন্ধ্যার পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলের ঝামেলা এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকিগুলোও সমাধান হচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গী এলাকায় এখনো ঝামেলা আছে।