এমন অবস্থায় সেপ্টেম্বরের শেষ কার্যদিবসেও খোলা বাজারে ডলারের দামে ছিলো অস্থিরতা। বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর পল্টনের বাজারগুলোতে ১১৬ টাকা ৩০ পয়সায় ডলার বিক্রয় করা হয়। পল্টন ও মিতিঝিলের মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ডলারের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগে ডলারের দাম স্বাভাবিক হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাজারে কোনো ডলার সাপোর্ট দেওয়া উচিত না।
তিনি আরও বলেন, ডলারের সংকট নিরসন ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই বসে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে।
বৈশ্বিক সংকটের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। দেশে প্রধান সমস্যা হিসেবে ধরা দেয় ডলারের দাম বৃদ্ধি। ডলারের এমন অস্থিরতার মধ্যে খোলা বাজার ও ব্যাকগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল। তারা যাচাই করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ট্রেজারি বিভাগের নথি, ডলার সংগ্রহের অনলাইন ও নগদে বেচা-কেনার তথ্য।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের পরেও খোলা বাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা। এসব খুচরা বাজারে প্রতিনিয়ত বেশি দামে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। ডলারের এই মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।