দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সৃষ্ট বন্যার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা ও কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় (লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ঢাকা ও নওগাঁ) অতিবৃষ্টি এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কৃষিজাত ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চলমান এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি উৎপাদন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রকৃত চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে নতুন ঋণ বিতরণ করতে হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ আদায় স্থগিতকরণ ডাউনপেমেন্টের শর্ত শিথিলপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা প্রদান করা যাবে।
এই সময়ে নতুন করে কোনো সার্টিফিকেট মামলা না করে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অনাদায়ী ঋণ তামাদি হওয়া প্রতিবিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলাগুলোর তাগাদা আপাতত বন্ধ রেখে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।
বন্যাযর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে প্রকৃত চাহিদা মোতাবেক যথাসময়ে নতুন ঋণসুবিধা গ্রহণ করতে পারেন এবং ঋণ পেতে কোনো হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বসতবাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন, গোখাদ্য উৎপাদন ও ক্রয় এবং অন্যান্য উৎসাহী কর্মকাণ্ডে ঋণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত কার্যক্রমের অগ্রগতি চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে কৃষিঋণ বিভাগকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।