বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে সহজ কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন মেয়াদ ও অংকের ইসলামিক সঞ্চয় গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে সিটি ব্যাংক ও বিকাশের এই যৌথ উদ্যোগ। এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই সিটি ব্যাংকের ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক মাসিক সঞ্চয় সেবা নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকেরা। ফলে দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঘরে বসে কাগজপত্র বা ফর্ম পূরণের ঝামেলা ছাড়াই ইসলামিক সঞ্চয় সেবা নেওয়ার সুযোগ পাবেন তারা।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের ইসলামিক সঞ্চয় সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, সিটি ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা ও পরিকল্পনা বিবেচনায় প্রতি মাসে কিছু সঞ্চয় করার জন্য এখন আর ব্যাংকে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ঝামেলা থাকবে না। ফলে ব্যাংকিং সেবার ভেতরে এবং বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠী সহজেই ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক সঞ্চয় সেবা নিতে পারবেন, যা সার্বিকভাবে সঞ্চয়কে উদ্বুদ্ধ করবে এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সঞ্চয় সেবা চালু করার জন্য বিকাশ অ্যাপের ‘ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়’ বা সেভিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ইসলামিক সেভিংসে ট্যাপ করে সেভিংস’-এর মেয়াদ ও জমার ধরন নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে মাসিক ৫০০, ১ হাজার, ২ হাজার এবং ৩ হাজার টাকা কিস্তিতে সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে সঞ্চয় স্কিম থেকে নিজের পছন্দমত সঞ্চয় করতে পারবেন গ্রাহক। সঞ্চয়ের মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর গ্রাহকেরা মুনাফাসহ পুরো টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন কোনো ক্যাশ আউট খরচ ছাড়াই।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সঞ্চয়ের কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিটি ইসলামিক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। তাই, নির্ধারিত তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য ক্ষুদে বার্তা দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে গ্রাহককে। এছাড়া গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের সময়কাল, মুনাফার পরিমাণ সরাসরি দেখতে পারবেন যেকোনো সময়।
বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেই যেকোনো গ্রাহক এই সঞ্চয় সেবাটি নিতে পারবেন। সেবাটি গ্রহণ করতে ডিজিটাল নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য হালনাগাদ থাকতে হবে। বিকাশ অ্যাপ থেকেই যেকোনো সময় তথ্য হালনাগাদের সুযোগ রয়েছ