চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স রুপার গড় দাম দাঁড়িয়েছে ২২ ডলার, যেখানে গত মার্চে ধাতুটির আউন্সপ্রতি গড় দাম ছিল ১১ ডলার ৬২ সেন্ট। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের স্বল্প সুদহার, বিনিয়োগ পণ্য হিসেবে চাহিদা বৃদ্ধি, উত্তোলন হ্রাস ও শিল্প খাতে ব্যবহার বৃদ্ধি মূল্যবান ধাতুটির দাম বাড়াতে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
মহামারীর জের ধরে ব্যাংকগুলোয় সম্পদের পরিমাণ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেল রিজার্ভ। দেশটিতে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা জেঁকে বসেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণ ও রুপা ক্রয়ে ঝুঁকেছেন। এছাড়া অর্থনীতির চাকা চাঙ্গা রাখতে করপোরেট বন্ড বাজারে ছাড়া, সুদহার নির্ধারণসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ফেড। এসব নীতি উভয় ধাতুর চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এদিকে চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এসব দেশে লকডাউন শীথিল করে আনা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকে ফিরতে শুরু করেছে। এতে বিভিন্ন শিল্প খাতে যেমন সোলার প্যানেল ও ইলেকট্রনিকসে রুপার চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে, যা পণ্যটির দাম বাড়াতে প্রভাব ফেলছে।
অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাস রোধে বিধিনিষেধের জেরে দেশে দেশে অন্যান্য খনিজ ধাতুর মতো রুপার উত্তোলনও কমছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনসাল্ট্যান্সি মেটাল ফোকাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর মূল্যবান
পণ্যটির বৈশ্বিক উত্তোলন আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কমে যেতে পারে। ফলে চাহিদার ওপর চাপের আশঙ্কায় পণ্যটির মূল্য বাড়তে শুরু করেছে।
আগামীতে রুপার দাম আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রভিক্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি সিটির একজন বিশ্লেষক জানান, আগামীতে স্বর্ণের দাম যেমন বাড়বে, সঙ্গে রুপার দামও। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে রুপার দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি ২৫ ডলার ছাড়াতে পারে।
সুত্র: রয়টার্স।