মঞ্চ ও টিভি নাটকের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী মাসুম আজিজ ক্যানসারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁর হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্টে’নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছিলেন। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ সোমবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে রাখা হবে অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ। আগামী কাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৷ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন। মাসুম আজিজের দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।
মাসুম আজিজ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের অনেকেই।