গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ডিএসই ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রকতষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিল গঠন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে আগামী ২৮ জুলাই এর মধ্যে।
একাধিক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের ( ব্রোকারেজ হাউজের) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে ব্যাংকপ্রতি সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন ও বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের জন্য সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সার্কুলারের পরিপ্রেক্ষিতে তহবিল গঠন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে তালিকাভুক্ত ৩০ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে গত ২৯ জুন চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারীর এ সময়ে দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন ও তারল্য পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট নিরসনে প্রতিটি ব্যাংককে বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিল গঠন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন। চিঠি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বিএসইসির কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে। কভিড-১৯-এর এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে এলে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তহবিল গঠন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে।
সার্কুলার জারির পরও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকগুলো আগ্রহী না হওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীও উদ্যোগ নেন। ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সঙ্গে একাধিকবার এ ইস্যুতে বৈঠকও করেছেন তিনি। এমনকি এ বছরের মার্চে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পর্ষদ বৈঠক করে। তবে নানামুখী এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এখন পর্যন্ত সেভাবে এগিয়ে আসেনি ব্যাংকগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির পক্ষ থেকেও ব্যাংকগুলোর তহবিল গঠন ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল।