রায়হানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তাঁর দুই আইনজীবী। রায়হান কবিরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে গত শনিবার দুই আইনজীবী সুমিথা শানথিনি ও সেলভারাজা চিন্নাহ ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে চিঠি লিখেছেন। রোববার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম মালয় মেইল এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার রায়হান কবিরকে কুয়ালালামপুর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে শনিবার রায়হান কবিরকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
দুই আইনজীবী সুমিথা শানথিনি ও সেলভারাজা চিন্নাহ রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের মক্কেল রায়হান কবির পুলিশের কাছে আটক নেই, এটা জেনে আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি। এরই মধ্যে আমরা ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে পাঠানো ই-মেইলে সোমবার দুপুর দুইটায় রায়হান কবিরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি।’
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন রায়হান কবিরের জন্য কনসুলার সুবিধা চেয়ে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়া এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসকে রায়হান কবিরের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে রায়হান কবিরের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে কনসুলার সুবিধা চেয়েছে।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খাইরুল জাইমি দাউদকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, রায়হান কবিরের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিবাসন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হবে। তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগতে পারে।
করোনার সময় লকডাউন চলাকালে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের প্রতি দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক আচরণ তুলে ধরা হয়েছে আল জাজিরার বিশেষ প্রতিবেদন “লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’স লকডাউন”-এ। রায়হান কবির তাঁর বন্ধুর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে অভিবাসীদের দুর্ভোগের কথা বলেছিলেন আল জাজিরার প্রতিবেদনে।