সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের ভাতিজা হাসান গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম গত ১৭ জুলাই থেকে স্কয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, বেশকিছু দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছিলেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম। গত ৬ জুলাই তাকে প্রথম ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা নেয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাসায় আনা হয়। পরে পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে তার। এ অবস্থায় গত ১৭ জুলাই আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টা দিকে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বাড়িতে নিয়ে আসার পর ১৭ জুলাই তার কাশির সঙ্গে রক্ত আসে। ওই দিন তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। সোমবার সকালে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১৯৬৬ সালে রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঝিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ইসরাফিল আলম। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তৎকালীন ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল আলম। সেই সংসদে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। বর্তমান সংসদে ওই কমিটির পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য তিনি।