মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু জরিমানাই নয়, সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল ব্যবহারে গ্রাহককে বাধ্য না করতে ৯০ দিনের সময়সীমাও বেধে দেয়া হয়েছে।
গত বছরও ইইউর জরিমানার মুখে পড়েছিল গুগল। সে সময় জরিমানার পরিমাণ ছিল ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে এবার গুণতে হচ্ছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা ইইউর বাজেটে নেদারল্যান্ডস প্রতিবছর যে অর্থ দেয় তার সমান।
ইইউ কম্পিটিশন কমিশনার মারগ্রেথ ভেস্টেগার বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গুগলের ব্যবসায়িক মডেল ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের অ্যান্ড্রয়েডের কোনো বিকল্প সংস্করণ ব্যবহার করতে দেয় না, তবে সেই সংস্করণটি গুগলও ব্যবহার করে না।
তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকরা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কোন সার্চ বা ব্রাউজার প্রি-ইনস্টল করবে বা কোন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার এটিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না গুগল।
এদিকে জরিমানার এ অর্থ পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে গুগল। ইইউর জরিমানার সিদ্ধান্তকে আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ করবে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র আল ভার্নি এক বার্তায় বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েড সবার জন্য অনেক বেশি বিকল্প নিয়ে এসেছে। অ্যান্ড্রয়েডের কারণে বাজারে কোনোভাবেই প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়নি।