বুধবার বিএসইসির ৭৩৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মিস রুখসানা মোর্শেদ, শারমিন আক্তার লাভলি এবং বাংলাদেশ সুজ ইন্ডাস্ট্রিজ যথাক্রমে সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক থাকা অবস্থায় পূর্ব ঘোষণা ব্যতিত ৭৯ লাখ ৪ হাজার, ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৪০টি এবং ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৮০টি শেয়ার বিক্রি করেন। এ বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা যথাক্রমে ৬.৯৮ কোটি, ৩.৬১ কোটি এবং ১.৫৯ কোটি টাকা মুনাফা করেন। তাদের বিক্রয়ের সময় প্রায় কাছাকাছি ছিল এবং উক্ত পূর্ব ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রয়ের পরেই কোম্পানিটির পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় যা অদ্যাবধি বন্ধ অবস্থায় আছে। বর্ণিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকে কমিশনের নোটিফিকেশন নম্বার এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/৪৯/এডমিন/০৩-৪৮ ডেটেড জুলাই ১৪, ২০১০ এবং এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/১১৯/এডমিন ডেটেড নভেম্বর ২২, ২০১১ ভঙ্গ করেছে। বর্ণিত ব্যক্তিরা কমিশনের শুনানিতেও অনুপস্থিত ছিলেন।
উপরোক্ত সিকিউরিটিজ আিইন লংঘনের জন্য কমিশন সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিস রুখসানা মোর্শেদকে ৮ কোটি টাকা, পরিচালক শারমিন আক্তার লাভলিকে ৪ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সুজ ইন্ডাস্ট্রিজকে ২ কোটি টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।