পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের লড়াইয়ের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। তার সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণের ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন শুরুর ব্যাটাররা। দশ ওভারেই তোলা হয়ে গিয়েছিল ৭০। তবে এরপরই যেন এলোমেলো হয়ে গেল টাইগার ব্যাটিং লাইন আপ, বলা যায় শুরুর ভালোটা ধরে রাখতে পারেনি সাকিবের দল। শেষ পর্যন্ত আট উইকেট ১২৭ রান তুলতে সক্ষম হয় আফিফ-লিটনরা।
অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। তবে সে জুটিকে স্থায়ী করতে পারেননি লিটন, ব্যক্তিগত ১০ রান করে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপর অবশ্য সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করার কাজটা চালিয়ে যেতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৩ রানে ব্যক্তিগত ২০ রান করে ফেরেন সৌম্য। এরপরই শুরু হয় দলের ছন্দপতন।
বিতর্কিত আউটের জেরে ১ বলে ০ রানে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। এরপর অবশ্য বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় অর্ধ-শতক তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংস বড় করতে পানেননি রাজশাহীর এই ক্রিকেটার, ফিরে যান ৫৪ রান করে।
এরপরই শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। মিডল অর্ডার ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন (৫), নুরুল হাসান সোহান (০) কেউই পারেননি ইনিংস মেরামত করতে। উল্টো দলকে বিপদে ফেলে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
আরেক মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। লো অর্ডার ব্যাটার তাসকিন আহমেদ এদিন রান পাননি, ফিরেছেন ১ রানে। পরবর্তীতে অবশ্য নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে থাকেন আফিফ। তবে ব্যক্তিগত ৭ রানে আবার ফিরে যান নাসুম। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।
অর্থসংবাদ/কেএ