পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে গেল বাংলাদেশের। আর এমন হারের পর সাকিব আল হাসান বললেন, এটিই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ।
তার কথাও যুক্তিযুক্ত। কারণ, কোনো আশা না নিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে গেলেও দুটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। একটি নেদারল্যান্ডস অন্যটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে এর আগে একবারই একটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ, সেটিও ২০০৭ সালে প্রথম আসরে।
দুটি জয় পেলেও ভারতের বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছে টাইগাররা। সে ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালের বিষয়টি অন্যরকমও হতে পারত।
আজ ভোরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাচরা হারিয়ে দিলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়।
যে জিতবে সেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে - এমন সমীকরণে অ্যাডিলেড ওভালে মুখোমুখি হয় সাকিব ও বাবর আজম।
সেই লড়াইয়ে ৫ উইকেটের হেরে গেছেন সাকিব ও তার দল।
এ হারে দ্রুত উইকেট পতনের কারণে স্বল্প পুঁজিটাই দায়ী। যদিও শুরুতে মনে হয়েছিল বড় সংগ্রহ গড়তে পারবে বাংলাদেশ। কারণ, ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রানে জমা করে ফেলে টাইগাররা।
এরপর ৫৭ বলের মধ্যে ৫৪ রান যোগ করতে ৭ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেই আক্ষেপটাই ঝরল সাকিবের মুখে।
অধিনায়ক বললেন, 'ইনিংসের মাঝপথে ৭০ রানে ১ বা ২ উইকেট ছিল আমাদের। ১৪৫-১৫০ রানের মতো করতে চেয়েছিলাম। এ পিচে সেটি ভালো একটি স্কোর হতো। প্রথম ম্যাচ দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের। ইনিংসের পরের ১০ ওভারে রান করা কঠিন। সব সময়ই জানতাম, নতুন ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে আমাদের। ফলে থিতু ব্যাটারদের কাউকে শেষ পর্যন্ত থাকাটা দরকার ছিল। সেটি হয়নি।’
টসে জিতে আগ্যে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করে খেলতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।