গত বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর টেন্ডার আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগের আগে গত এপ্রিলে কোম্পানিটির কাছে এর আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু ঘাটতি থাকার উল্লেখ করে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। এখন বিশেষ নিরীক্ষার উদ্যোগ নিল বিএসইসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুন, ২০১৭ হিসাব বছর থেকে ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছর পর্যন্ত মোট পাঁচ বছরের জন্য বিশেষ নিরীক্ষা করতে হবে।
টানা তিন বছর এজিএম না করার পর কোম্পানি আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে গত বছরের ১৯ জুন এজিএম করে কেয়া কসমেটিক্স। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ওই তিন বছরের মধ্যে দুই বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সুপারিশ করে। শুধু ২০২০ সালের জন্য ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের সুপারিশ করে। কিন্তু আইনি জটিলতা এড়াতে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনে শেষ পর্যন্ত ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়। এভাবে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে বের হয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়। কিন্তু তারপরও আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক হাজার ১০২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল ৮৫ কোটি টাকার বেশি। ২০১৯ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১২ টাকা ৯৪ টাকা নিট লোকসানের পর ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ২১ পয়সা নিট মুনাফা করার তথ্য দেয় কেয়া কসমেটিক্স।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে শেয়ারটি ৬ টাকা ৪০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। টানা তিন সপ্তাহে এর দর সাড়ে ৬ টাকা থেকে বেড়ে গত ৩ অক্টোবর সাড়ে ৮ টাকায় উঠেছিল। এর পর থেকে দর হারিয়ে ফের আগের অবস্থানে ফিরেছে। এ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৪০ পয়সা।
ভয়েসনিউজ/এনএন