বিশ্বকাপে বড় অঘটন, সৌদির কাছে আর্জেন্টিনার হার

বিশ্বকাপে বড় অঘটন, সৌদির কাছে আর্জেন্টিনার হার

একেবারে অপ্রত্যাশিত। এমন একটি ম্যাচ দেখতে হবে শুধু আর্জেন্টিনা ভক্ত কেন, কেউই যে স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। অথচ ভাবনারও অতীত সে ঘটনা ঘটলো আজ লুসাইল স্টেডিয়ামে। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।





প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলো আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে গোল হজম করে বসলো লিওনেল মেসির দল। ৪৮তম মিনিটে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত এক শটে লা আলবিসেলেস্তেদের জালে বল জড়ান সৌদি আরবের সালেহ আল সেহরি।





৫৪তম মিনিটে আবারও গোল। এবার সৌদি আরবের ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় সালেম আল দাওসারি রদ্রিগো ডি পল এবং নিকোলাস ওতামেন্দিকে কাটিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শটে বল জড়ান আর্জেন্টিনার জালে।





প্রথমার্ধে মোট চার গোল করলো আর্জেন্টিনা; কিন্তু অফসাইডের কারণে তিনটিই বাতিল হয়ে গেলো। পেনাল্টি থেকে করা মেসির গোলটি ছাড়া আর কোনোটিই বৈধ হলো না। ফলে সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ১-০ গোলেই এগিয়ে থাকলো আর্জেন্টিনা।





সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটেই পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গেলো আর্জেন্টিনা। ভিএআর চেক করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক নেন লিওনেল মেসি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সহজেই বলটি সৌদি আরবের জালে জড়িয়ে যায়।





খেলার ৮ম মিনিটেই কর্নার কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিক নেন মেসি। এ সময় বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো প্যারেদেসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। এরপরই ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।





৭ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ এবং এবারই শেষ সুযোগ তার বিশ্বকাপ জয়ের। সে লক্ষ্যেই সৌদি আরবের বিপক্ষে সূচনাটা ভালোই হয়েছে বলা যায় মেসির।





তবে এই পেনাল্টির পর দারুণ একটা পরিসংখ্যানও সামনে চলে এলো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করলো আর্জেন্টিনা।





ম্যাচের শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রভাব বিস্তার করে খেলার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির বাঁ পায়ের দুর্দান্ত একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক আল ওয়েসিস।





৬ষ্ঠ মিনিটেই মেসির দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলরক্ষক। ৮ম মিনিটে কর্নার কিক করেন মেসি। আল ওয়েসিস পাঞ্চ করে বল ঠেকিয়ে দিলেও প্যারেদসকে ফেলে দেন আল বুলাইহি। ভিএআর চেক করে রেফারি জানালেন এটা ফাউল এবং পেনাল্টি।





২২তম মিনিটে একটি গোল করেন মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান আগেই ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়িয়ে থাকেন। জানালেন এটা ছিল অফসাইড। ২৮ মিনিটে লওতারো মার্টিনেজ গোল করেন। কিন্তু এবারও ভিএআরের কারণে দেকা গেলো তিনি ছিলেন অফসাইডে। সুতরাং গোল বাতিল। ৩৪ মিনিটে আরও একবার সৌদির জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু তার আগেই সাইড রেফারি জানিয়ে দেন- এটা ছিল অফসাইড।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে