রাজশাহীতে যে সিল্ক সুতা উৎপাদন হয় তা বিশ্বমানের বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন ও বিসিক আয়োজিত জেলার ব্যবসায়ী ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি থাকবে। লোকাল ‘র’ ম্যাটেরিয়ালসে আমাদের যে সিল্ক সুতা উৎপাদন হয় তা অনেক ভালো মানের। এমনকি বিশ্বমানের। চায়নার চেয়েও ভালো। সেটাকে আমরা রিভাইব (পুনরায় চালু) করার জন্য আমরা কাজ করব। সুগার মিলসহ বন্ধ শিল্পকারখানাগুলো পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে চালু করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী ট্যুরিজম শহর হয়ে গেছে। শুধু ট্যুরিজম শহর না, এটি একটা শিক্ষা ও সিল্কসিটি নগরী। বিসিক শিল্প নগরী আছে, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখানে ট্যুরিজম সেন্টার অলরেডি হয়ে গেছে। কলকারখানা, হোটেল, মোটেল হয়েছে। আমরা পর্যটনের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এটি সরকারের দৃষ্টিতে আছে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রথমত রাজশাহীতে একটি বিশাল চামড়া শিল্প নগরী করছি। এখান থেকে এক্সপোর্ট করা হবে। যেমন আমরা গার্মেন্টসের তুলা বাইরে থেকে আনি। কিন্তু চামড়া আমাদের ‘র’ ম্যাটেরিয়ালস। এগুলো কাজ করে আমরা বাইরে পাঠাবো। এই রিলেটেট ইন্ডাস্ট্রিগুলো হবে। এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করছি। পাঁচ বছরব্যাপী পরিকল্পনা করছি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে চিনির কোনো অভাব নেই, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছিল। দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। রমজান মাস সামনে রেখে পর্যাপ্ত চিনি আছে। আমাদের সংগ্রহ থেকে বাজারে চিনি ছাড়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ, পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েসনিউজ/এনএন