প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ইংলিশরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এসে দুই মিনিটের ঝড়ে ২ গোল, এরপর আরও এক গোল দিলো ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো ইংলিশরা। ওয়েলসকে বিদায় করে গ্রুপ সেরাই হলো ইংলিশরা।
ম্যাচের ৫০, ৫১ এবং ৬৮ মিনিটে গোল তিনটি করেন মার্কাস রাশফোর্ড এবং ফিল ফোডেন। ‘বি গ্রুপে এই জয়ে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৭। গ্রুপ সেরা হয়েই তারা উঠলো শোষ ষোলোয়। ইরানকে হারিয়ে গ্রুপ রানারআপ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পয়েন্ট ৫।
নকআউটে ইংল্যান্ড খেলবে সেনেগালের বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৪ ডিসেম্বর রাত ১টায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩ ডিসেম্বর রাত ৯টায়।
প্রথমার্ধে গোল করতে না পারার আক্ষেপই সম্ভবত দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই তাতিয়ে দিয়েছে ইংলিশদের। যে কারণে ৫০তম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড অসাধারণ এক ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে ডেভিড বেকহ্যাম কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে যে গোল করেছিলেন, এরপর এই প্রথম কোনো ইংলিশ ফুটবলার দেশের হয়ে গ্রুপ পর্বে সরাসরি ফ্রি-কিকে গোল করলেন।
প্রথম গোল দেয়ার পরের মিনিটেই আবারও গোল। এবার গোলদাতা ফিল ফোডেন। হ্যারি কেইনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে গোলটি করেন ফোডেন।
ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে আবারও মার্কাস রাশফোর্ড গোল করলেন। ক্যালভিন ফিলিপস বক্সের মধ্যে বল ঠেলে দেন। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ শট নেন রাশলোর্ড। বল জড়িয়ে যায় গ্যারেথ বেলদের জালে।
গোল হজম করার পর ওয়েলসের ফুটবলাররা আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা করে শোধ করার জন্য। কিন্তু ইংলিশদের রক্ষণদুর্গ তারা ভাঙ্গতে পারেনি।
আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছে ইংল্যান্ড-ওয়েলস দু’দলই। কিন্তু প্রকৃত অর্থে গোল বের করে নেয়ার মত কোনো শট নিতে পারেনি ইংলিশরা।
১০ম মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের গোল লক্ষ্যে শট ঠেকিয়ে দেন বক্সের সামনে থাকা ডিফেন্ডাররা। ১৫তম মিনিটে ফিল ফোডেন একবার সুযোগ পেয়েছিলেন শট নেয়ার। কিন্তু তার শটটি বাইরে চলে যায়।
১৯ মিনিট, ২৪ মিনিট ৩৯ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের কোনো স্ট্রাইকারই গোল করার মত শট নিতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হলো গোলশূন্যভাবেই।
অর্থসংবাদ/কেএ