আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আহত অন্যদের ইউনিফিলের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টার/অ্যাম্বুলেন্সযোগে হামুদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত। শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আহত নৌসদস্যদের চিকিৎসা চলমান রয়েছে।
নৌবাহিনীর যে ২১ সদস্য আহত হয়েছেন তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয়ে অবস্থান করছিলেন। বিস্ফোরণে জাহাজটিও সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বিস্ফোরণে সাধারণ কোনো বাংলাদেশি নিহত বা আহত হননি। তবে কয়েকজন সামরিক বাহিনীর সদস্য কিছুটা আহত হয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৈরুতে অবস্থান করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে মোট ১১০ সদস্য ছিল। কিন্তু ঘটনাটি সন্ধ্যার আগ দিয়ে হওয়ায় ওই সময় অনেকেই জাহাজে ছিলেন না।
উল্লেখ্য, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত এবং প্রায় চার হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
একইসঙ্গে এত আহত মানুষের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বৈরুতের হাসপাতালগুলো। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসব আহত মানুষকে সেবা করার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কোনো রোগী হতে পারছে না।
কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, যে স্থানটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বন্দরের গুদাম রয়েছে। রাসায়নিকের মজুদ থাকা বন্দরের গুদামে প্রথম আগুন লাগার কথা জানা গেছে। লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আল-জাজিরাকে বলেছেন, বন্দরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ করা ছিল। তা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য দেখা গেছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওচিত্রে। সেন্ট্রাল বৈরুতের বাসিন্দারা আকাশে ধোঁয়ার লাল কুণ্ডুলী দেখতে পান। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে স্থানীয় ও প্রবাসীসহ সেন্ট্রাল বৈরুতের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরণটি ঘটে থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।