গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। এমনটা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপিডিসি এলাকা পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী মার্চের পর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।
বাইরে থেকে এলএনজি আমদানি করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনা হবে।
আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে ঢাকার একটি বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবলের আওতায় আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজধানীর ধানমন্ডির বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে। আর পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এরইমধ্যে ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী বছরেও যেন লোডশেডিং না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে। আশা করছি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।
অর্থসংবাদ/কেএ