পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে শিগগিরই ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, বিএসইসি, সিডিবিএল, ডিএসই এবং সিএসইর মধ্যে আন্ত:সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন প্রকল্পের আওতায় ৮-১০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। খুব শিগগিরই এ অর্থ পাওয়া যাবে।
এর আগে গতকাল (বুধবার) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপণী দিনে বিএসইসি কমিশনার বলেন, অনেক সময় অডিটরদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ এই জিনিসগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আইপিও প্রসেসটাকে ডিজিটালাইজড করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য বিএসইসি বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের চেষ্টা করছে। এজন্য সরকারের ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফান্ডটি পাওয়া যাবে। বিএসইসি সে ফান্ড নিয়ে পুরো আইপিও প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে৷
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পানির পরিচালকদের অন্য কোন কোম্পানি রয়েছে কিনা এবং সে কোম্পানিগুলোকে তারা কিভাবে পরিচালিত করছে। এছাড়াও ইএসজি রিপোর্টিং এর মতো নতুন নতুন নিদেশিকা ও মূল্যায়ন তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন ডকুমেন্ট কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। এই ডকুমেন্ট তৈরিতে কমিশনের কোন হাত নেই। কমিশন অডিটরদের অডিট রিপোর্টকে পর্যাপ্ত ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো আইপিওর দালিলিক প্রমাণের দিকে খেয়াল রাখা। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কমিশন ৪টি বিষয় খেয়াল রাখে। প্রথমটি হলো-ইস্যুয়ার প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা কেমন ও তাদের মানসিকতা কী। দ্বিতীয়টি হলো-যে সকল বিনিয়োগকারী আইপিওতে বিনিয়োগ করেছে, তাদের বিভিন্ন বিষয় জানা। তৃতীয়টি হলো-কোম্পানিটি কোনো রেগুলেটরি ক্রাইসিস তৈরি করবে কিনা সেটি লক্ষ রাখা এবং চতুর্থটি হলো-যে সকল প্রতিষ্ঠান দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠান তালিকাভূক্ত না করা।