আজ রোববার (৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গেলে আমানতকারীদের ব্যাংকাররা বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকার উৎসহ জানতে চান। এতে গ্রাহকরা টাকা জমা দিতে গিয়ে জবাবদিহিতার মুখে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাই এখন থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে যাওয়া কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত প্রশ্নের মুখোমুখি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মেজবাউল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানতের পূর্ণ নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে, সেখানে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি না তার তদন্ত চলছে। তদন্তের পরই আমরা বলতে পারবো।
ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ১২ শতাংশ মৌখিকভাবে অনুমোদন করা হয়েছে এবিবির এমন দাবি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে কোনো সার্কুলার করিনি। আগের নিয়মেই ভোক্তা ঋণের সুদহার রয়েছে। তবে কোনো ব্যাংক যদি ১২ শতাংশের কথা বলে থাকে তাহলে সেটা আগাম প্রস্তুতি। এটা হলে আমরা সার্কুলা দেবো।
গ্রাহক ইসলামী ব্যাংক থেকে আমানত উঠিয়ে নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিশ্বাসের সেই সংকট কেটে গেছে। আমানতকারীরা পুনরায় ব্যাংকে টাকা রাখছেন। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটাই কমে এসেছে। সহসাই ডলারসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাবে।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো— আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) সহজীকরণ বিষয়। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোর এমডিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবারহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমদানিতে সবধরনের সহায়তা দিতে এমডিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অপ্রয়োজনীয় এলসি খোলা বন্ধ রয়েছে। তবে, রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমএন