শেয়ারবাজারের এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তা জিন্নাত আরা সম্প্রতি আইন বহির্ভূতভাবে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএইসই) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএসই) কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ১০ নভেম্বর কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তা পরিচালক জিন্নাত আরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেড় লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের বিধি ৪ এর ২ উপবিধির লঙ্ঘন।
ওই আইনে বলা হয়েছে, কোন কোম্পানির বার্ষিক হিসাব সমাপ্ত হওয়ার দুই মাস পূর্ব থেকে পরিচালনা পর্ষদ কতৃক উক্ত হিসাব বিবেচিত, গৃহীত বা অনুমোদিত হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত কোন পরিচালক, স্পন্সর কেউ শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না। যেহেতু কৃষিবিদ ফিড জুন ক্লোজিং বা হিসাববছর সমাপ্ত হয় জুন মাসে (জুলাই-জুন)।গত জুন মাসে কোম্পানিটির হিসাব বছর সমাপ্ত হলেও এখনো পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছর অনুমোদিত হয়নি কোম্পানিটির।
গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ‘কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তার আইন বহির্ভূত শেয়ার বিক্রির ঘোষণা' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদ। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসার পর অবশেষে নিজেদের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা প্রত্যাহার করে কৃষিবিদ ফিড।
ডিএসইকে দেওয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, কৃষিবিদ ফিডের উদ্যোক্তা জিন্নাত আরা শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। তাই এই বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৬ (৩) এর অধীনে ডিএসইকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর শেয়ারবাজারের এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেন শুরু করে কৃষিবিদ ফিড। ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৯৫ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৪.৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪.৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০.৯৫ শতাংশ শেয়ার আছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ফিদের শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়।