শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্যা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারাদেশে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যার প্রভাব দাম বেড়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকায় এখন সবজির দাম আকাশছোঁয়া।
বাজার ও মানভেদে এককেজি বেগুন কিনতে এখন খরচ করতে হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা, যা মাসখানেক আগে ছিল ৪৫-৫৫ টাকায়। পেঁপের দাম কয়েকমাস ধরেই চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। ক’দিন আগেও কাঁচকলা পাওয়া যেত ২০-২৫ টাকা হালি দরে। কিন্তু এখন এক হালি কলা কিনতে লাগছে ৩৫-৪০ টাকা।
এছাড়া বরবটি বাজারভেদে ৭০-৯০ টাকা, চিচিংগা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুর মুখি ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পর এবার বাজারের চিত্র অন্যবারের মতো না। এবার ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে তুলনামূলক মানুষ কম গেছে। তবে বন্যার কারণে ঢাকার আশপাশের জেলা ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। যে কারণে দাম একটু বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের সবজির আড়ৎদার মনির বলেন, প্রতিদিন আমার দুই ট্রাক সবজি দরকার। কিন্তু এক ট্রাকও ঠিকমতো পাচ্ছি না। বন্যায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, করোনার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। একদিকে আমাদের আয় কমেছে, অন্যদিকে পণ্যের দাম চড়া। ফলে আমরা বড় সমস্যার মধ্যে আছি। বাজারে কোনো সবজিই এখন ৫০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে সবজির দাম বাড়লেও মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক স্বস্তা।
বিভিন্ন বাজারে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকা, যা কিছু দিন আগেও ছিল ১২০০-১৩০০ টাকা। ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। আর আধাকেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকার মধ্যে।
মাছ ব্যবসাযয়ীরা বলেন, এখন বাজারে ইংলিশ সস্তা। জেলের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে দাম কম। এর থেকে কম দামে ইলিশ পাওয়া যাবে না। কিছুদিন আগে যে ইলিশ ১২৫০ টাকা বিক্রি করেছি, এখন তা ৮৫০ টাকা।